সামনে লোকসভা নির্বাচন। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৪ মার্চ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর। তাই এখনই দলবদল করার হিড়িক শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচী যোগ দিলেন বিজেপিতে। শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন কৌস্তভ। আর তারপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করলেন, ‘আগামী ৭ মার্চ যোগদান পর্বে বড় চমক থাকবে।’ এই মন্তব্য করতেই রাজ্য–রাজনীতিতে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস খুব একটা চিন্তিত নয়। কারণ এবার তাঁরা শক্তিশালী প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু বিজেপির মেগা জয়েনিং কর্মসূচিতে কি দেখা যাবে দিব্যেন্দু অধিকারীকে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘আর তো ক’টা দিন। কারা যোগ দিচ্ছে, কারা দিচ্ছে না, সেটা ৭ তারিখেই বোঝা যাবে।’ ফলে থাকতেই পারেন দিব্যেন্দু অধিকারী। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে টিকিট দেবে না এটা তাঁর কাছেও নিশ্চিত খবর। তাই তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চান দিব্যেন্দু। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা হবে দিব্যেন্দুর। তারপরই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অধিকারী পরিবারের আর এক সদস্য।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ আমলের ইঁটের নিকাশি ব্যবস্থা বাঁচাতে উদ্যোগ, সংস্কারের পথে কলকাতা পুরসভা
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ের ঘরওয়াপসি হয়েছে। এবার কি তৃণমূলের আরও কোনও হেভিওয়েট নাম লেখাতে চলেছেন বিজেপিতে? এই প্রশ্ন জোরাল হয়ে দেখা দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে দিব্যেন্দু অধিকারীর। তাই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘আমি দলে নেই ধরে নিতে পারেন। সাংসদ আছি। যতটুকু আমার মেয়াদ আছে, সাংসদ থাকব। আমি আমার দাদাকে নিয়ে গর্বিত। দাদা আমার কাছে গর্বের দাদা। যাঁর জন্য আমার বুকটা সবসময় চওড়া হয়ে থাকে।’
তাহলে কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই প্রশ্ন শুনতে হয় দিব্যেন্দু অধিকারীকে। আর টিভি ৯ বাংলার এই প্রশ্নের উত্তরে দিব্যেন্দু বলেন, ‘সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই করব।’ শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘আমি এবার পরিষ্কার করে দিচ্ছি, কৌস্তভ বা যাঁরাই যোগদান করেছেন কিংবা করবেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে তৃতীয় বার জেতানোর জন্যই এসেছেন বা আসবেন। কোনও আশা আকাঙ্খা বা পূর্ব শর্ত নিয়ে নয়। আমাদের লক্ষ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা থেকে লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসনের যে টার্গেট দিয়েছেন সেটা পূরণ করা। আগামী ৭ মার্চ বড় জয়েনিং হবে। সেটার জন্য অপেক্ষা করুন।’