আর হাতে গোনা কয়েকটি দিন বাকি। তারপরই আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের। এটাকে এখন হাইভোল্টেজ অনুষ্ঠানে পরিণত করতে চায় বিজেপি। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে হিন্দুত্বের বার্তা দিতে জোরকদমে প্রচার শুরু হয়েছে। আর এই প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়ের করা মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁর মন্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বলেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আর তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি।
এদিকে রামমন্দির এখন বিজেপির কাছে বড় ইস্যু। দেশের অন্যান্য সমস্ত সমস্যা এখন পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। সামনে এসেছে রামমন্দির ইস্যু। বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ শিবির চলছিল। সেখানে সাংসদ শতাব্দী রায় রাম মন্দির নিয়ে বিজেপির প্রচারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিজেপি নাকি রামকে বাড়ি করে দিচ্ছে। তাদের এত ক্ষমতা। তাহলে রাম বোধহয় বিপিএল। আমরা যেমন বিপিএল কার্ডে মানুষকে বাড়ি দিচ্ছি, তেমনি ওরাও রামকে বাড়ি দিচ্ছে। তা হলে রামের ছেলে লব–কুশকেও একটি করে বাড়ি দিলে পুণ্য হবে।’
অন্যদিকে সাংসদের এই মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি বিজেপি নেতারা। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায় বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘আপনারা সবাই ভোটে জিতে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখান থেকে আমি কেন জিততে পারছি না? তাহলে আমি কি প্রার্থী হিসেবে খারাপ? আর তাই যদি হয়, তাহলে অন্য জায়গায় জিতেছি কেন? তাহলে আপনারা কি নেতা হিসাবে খারাপ? আর না হলে মানুষের কাছে ঠিকমতো প্রচারে পৌঁছতে পারছেন না।’ দলীয় কর্মীদের এভাবেই বার্তা দেন শতাব্দী।
আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বরে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণে জমির প্রয়োজন, রাজ্য সরকারের দুয়ারে মেট্রো
এছাড়া এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কোথাও প্রচারে গেলে বিক্ষোভ দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘শতাব্দী রায় হারেননি, হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরসভা নির্বাচনের সময় দিদির পুলিশকে সামনে রেখে গুন্ডা ও তোলাবাজদেরকে দিয়ে মনোনয়ন করতে দেয়নি। ভোট হয়নি বলেই পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল। বিধানসভায় হেরেছে ও লোকসভায় হেরেছে। আগামী দিনে স্বচ্ছ নির্বাচন হলে সব ভোটেই হারবে তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমের সনাতনী সমাজের মানুষকে আমি বলব, ভোট চাইতে এলেও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করা হোক।’ আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দী বলেন, ‘এটা আমার কথা নয়। ওরাই নাকি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল তোলার সময় বলছেন, ‘আমরা রামের বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি।’ এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে আসছে?’