অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দোকান বিক্রি করে তৃণমূলের তোলাবাজির মুখে এক ব্যক্তি। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার। অভিযুক্ত বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়াকে বহিষ্কার করেছে দল। তবে তাতে ছিছিক্কার থামছে না। অপসারিত বুথ সভাপতির শাস্তি দাবি করছেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরাই।
উৎপল বারিক নামে অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর বাজারে থাকা দোকান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু ক্রেতা পেতে সমস্যা হচ্ছিল। তখন সহযোগিতার আশ্বাস দেন বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া। তবে দোকান বিক্রি করে দিলে ১৫ হাজার টাকা পার্টি ফান্ডে দিতে হবে বলে শর্ত দেন তিনি। উপায় না দেখে সেই শর্তে রাজি হন উৎপলবাবু। এর পর দোকানের ক্রেতা জোগাড় হয়। কিন্তু মাপতে গিয়ে দেখা যায় দোকানের জমি দাবির চেয়ে কিছুটা কম। এর ফলে দোকানের দাম কিছুটা কম দেবেন বলে জানান তিনি। শেষে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় দোকানটি। দোকানের দাম কমে যাওয়ায় উৎপলবাবুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। শেষে ৭ হাজারে রফা হয়। হাতে দোকান বিক্রির টাকা পেয়েই বুথ সভাপতির প্রাপ্য মিটিয়ে দেন উৎপলবাবু।
এর কয়েক দিন পর উৎপলবাবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাপানো একটি বিল দেন লক্ষ্মীকান্তবাবুর ভাই। সেই বিল নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা এসরাফিল খানের দ্বারস্থ হন উৎপলবাবু। তিনি লক্ষ্মীকান্তবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে কান দেননি তিনি। এর IPACকের প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় দল। তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, ‘আমার বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ চক্রান্ত করেছে।’