আমফানের ত্রাণে দুর্নীতি করায় নন্দীগ্রামে দলের ২৫ জন নেতাকে দল থেকে তাড়াল তৃণমূল। মঙ্গলবার দলের জেলা স্তরের কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন এক পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও।
আমফানের ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নন্দীগ্রামে প্রায় ২০০ জন নেতাকে শো কজ করেছিল তৃণমূল। সেই শো-কজের জবাবের ভিত্তিতে এদিন ২৫ জনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় দলের পূর্ব মেদিনীপুর কোর কমিটি।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক এলাকার একজন পঞ্চায়েত প্রধানও। দলের তরফে জাননো হয়েছে, ত্রাণে দুর্নীতি করে থাকলে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ জন তৃণমূল নেতা ইতিমধ্যে ত্রাণের টাকা সরকারকে ফেরত দিয়েছেন। আরও ৫০ জন টাকা ফেরত দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও এতদিন চুপ করে ছিল মানুষ। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর পালচা প্রতিবাদ শুরু করেছে মানুষ। তাতেই বাধ্য হয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটে আগে এভাবে দলের ভাবমূর্তি উদ্ধারের চেষ্টা করলেও হতে পারে হিতে বিপরীত। ভোটের আগে বিরোধী দলে নাম লিখিয়ে তৃণমূলের আরও ক্ষতি করতে পারে বহিষ্কৃতরা।