পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে বিজয়া সম্মিলনী করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এই সম্মিলনীর লক্ষ্য হল দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তোলা, জনসংযোগ বাড়ানো। সেই বিজয়া সম্মিলনীর সভাতেই তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাল দলের অপর গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার তৃণমূল বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির নাম কেন কার্ডে রাখা হয়নি? তা নিয়েই সভামঞ্চের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ।
টালাবাহানার পর বিধানসভায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে মিলল অনুমতি
আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে দলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। দলীয় স্তরে সেই সম্মিলনীতে হাজির ছিলেন রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাধিপতি উত্তম বারিক, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও তন্ময় ঘোষ এবং চণ্ডীপুরের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন, প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য ও অর্ধেন্দুশেখর মাইতি। পাশাপাশি ছিলেন, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোর্তিন্ময় কর, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি শেখ আনুয়ারউদ্দীন, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, মদনমোহন পাত্র প্রমুখ। এদিন ভগবানপুরের ভীমেশ্বরী হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা জন প্রতিনিধি ও বিশিষ্টরা এতে হাজির ছিলেন। বিজয়া সম্মিলনীতে স্বাভাবিকভাবেই বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টিমুখ হয়।
তবে এগরা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির সেখানে ছিল না। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের ইস্তফার দাবি করেন। মঞ্চ থেকে নেমে গিয়ে কুনাল ঘোষ ও বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেন।