হুগলির চুঁচুড়ায় চতুর্থ জাতীয় লোক আদালতের বিচারকের আসনে বসলেন রূপান্তরকামী শিক্ষিকা অত্রি কর। হুগলির কুন্তিঘাটের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ত্রিবেণীর বাসিন্দা অত্রি কর। লোক আদালতে বিচারকের সম্মান পেয়ে তিনি খুশি। শনিবার হুগলি জেলা আদালতে আয়োজিত এই লোক আদালতে সব মিলিয়ে ৫৩৩৩ মামলার নিষ্পত্তি হয়।
চুঁচুড়া মহকুমা আইনি পরিষেবা সমিতির উদ্যোগে গতকাল সেখানে লোক আদালতের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফৌজদারি, চেক বাউন্স, শ্রম বিবাদ, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, বৈবাহিক মামলা, গাড়ি দুর্ঘটনা-সহ একাধিক মামলার নিষ্পত্তি হয়। মোট পাঁচটি বেঞ্চ বসে। সেখানে বিচারক হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে আইনজীবী এবং অত্রি করের মতো সমাজকর্মীরা জায়গা পান।
বিচারকের সম্মান পেয়ে অত্রি বলেন, ‘২০১৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সামনে আনার সেইভাবে প্রচেষ্টা করা হয়নি। স্টেট লিগাল সার্ভিস অথরিটি, ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি সেগুলি করছে। তাদের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। হাইকোর্টের বিচারপতিরা আমাদের পাশে বসছেন, সম্মান দিচ্ছেন। এটা খুবই সম্মানের বিষয়।
প্রসঙ্গত, সমাজসেবা মূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত অত্রি কর স্কুল শিক্ষকও বটে। তিনি বলেন, ‘জাজমেন্ট আমরা সারা জীবনই করি। আর মানুষ আমাদের প্রতি একটু বেশি জাজমেন্টাল। তবে মেন্টাল বাদ দিয়ে শুধু জাজমেন্ট করব।’ এদিন লোক আদালতে পাণ্ডুয়ার দাবরা গ্রামের বাসিন্দা শেখ বরকতউল্লা চাষের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তবে ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে তিনি ঋণ মেটাতে পারেননি। শনিবার সেই মামলারও নিষ্পত্তি হয়। এছাড়াও অনেক পুরনো মামলার নিষ্পত্তি হয়।