কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি থেকে খুচরো পাপ, রোজই নানা কুকর্মে নাম জড়ায় তৃণমূলের ছোট – বড় - মেজো নেতাকর্মীদের। এবার একেবারে শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েক সদস্যের বাবার বিরুদ্ধে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ। ঘটনা নদিয়ার চাপড়া থানা এলাকার ঘটনা। চাপড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি সদস্য কৌশিক ঘোষের বাবা বিশ্বজিৎ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়ার সুভাষপল্লি এলাকায় বিশ্বজিৎবাবুর বাড়িতে মধুচক্র চলছে বলে কয়েক দিন ধরেই থানায় খবর আসছিল। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ৪ জন পুরুষ ও বেশ কয়েকজন মহিলাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে ব্যবহৃত কন্ডোম। এর পর অভিযুক্তদের পাশাপাশি বিশ্বজিৎবাবুকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় বাড়িতে থাকা মোটরসাইকেলগুলি।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই বাড়িতে যে মধুচক্র চলে তা সবাই জানত। কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পেত না। বললেই বলত, দলের কাজে এসেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বাইরের লোকের কী কাজ? শাসকদলের হাত মাথায় থাকায় কেউ কিছু বলতে পারেনি। কিছু বলতে গেলেই ভয় দেখানো হত।
ধৃতদের শনিবার কৃষ্ণনগর আদালতে পেশ করা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক রুকবানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’
এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি আদর্শ বলে কিছু নেই। তাই এরাই তৃণমূলের সম্পদ। ওদের দলেরই কেউ কলকাঠি নেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের আগে ঠিক ছেড়ে দেবে।