তন্ত্রসাধনার নামে নিজের নাবালিকা ভাইঝিকে বলিদানের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তান্ত্রিক পিসির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি বীরভূমের সিউড়িতে। নাবালিকা ভাইঝিকে বলি দেওয়ার জন্য তারাপীঠ মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিল ওই তান্ত্রিক। তবে বলি দেওয়ার আগেই পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা বোলপুর থানার চাতারপুর কলোনী এলাকার বাসিন্দা। গত ১৮ এপ্রিল আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় মামনি সরকার নামে নাবালিকা। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরেও নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে খোঁজ নেন। কোথাও সন্ধান না পেয়ে তিনদিন পর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। মেয়েটির পরিবারের দাবি, প্রতিদিনকার মতো সে বাড়ির পাশে রাস্তায় খেলছিল। তবে সন্ধ্যার পর আর সে বাড়িতে ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্তে নামে পুলিশ। বোলপুর শান্তিনিকেতন এবং শান্তিনিকেতন মহিলা থানা ও পাড়ুই থানার পুলিশ নিখোঁজ নাবালিকার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। নাবালিকার সন্ধানের জন্য কুকুরের সাহায্য নেওয়া হয়। শেষে তারাপীঠ এলাকা থেকে পর্যটকের ভিড়ের মধ্যে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে তার পিসি রেখা সরকারকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রেখা তার ভাইঝিকে ভুল বুঝিয়ে মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিল। রেখা ওই মন্দিরে ৪২ বছর ধরে তন্ত্রসাধনা করে আসছে। কিন্তু, কোনও রকম বিপদ হওয়ার আগেই পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে এবং রেখাকে গ্রেফতার করে। তাকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তার ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নাবালিকা মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি তার পরিবার। মেয়েটির বাবা জানান, না জানিয়ে তার পিসি এমনভাবে নিয়ে চলে যাবে তা বুঝে উঠতে পারেননি। প্রথমে তিনি বুঝতেই পারেননি কীভাবে তাদের মেয়ে নিখোঁজ হল। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও হদিস পাওয়া যায়নি। পুলিশ যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে মেয়েকে উদ্ধার করেছে তার জন্য তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup