আজ, শুক্রবার এক কিশোরকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। নেশামুক্তি কেন্দ্রে ওই কিশোরকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তুফানগঞ্জে। নেশায় আসক্ত ছিল এই কিশোর। তাই পরিবারের সদস্যরা নেশা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চেয়েছিল। তাই নেশামুক্তি কেন্দ্রে রেখেছিল কিশোরকে। যদিও স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হল না ওই কিশোরের। তার আগেই জীবন শেষ হয়ে গেল। তাও আবার খুন হয়ে। এই অকালে একটা প্রাণ ঝরে যাওয়ায় আলোড়ন তুঙ্গে উঠেছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার তুফানগঞ্জ শহর লাগোয়া অন্দরানফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দরিয়াবালাই এলাকায় পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে। কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে কিশোর এই আশায় সেখানে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ওই কিশোরকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? ওই কিশোর তুফানগঞ্জ–১ নম্বর ব্লকের নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলমেলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা। ওখানেই তার বাড়ি। কিন্তু কিছু খারাপ ছেলের পাল্লায় পড়ে ১৭ বছর বয়সে ওই কিশোর মদ, গাঁজার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে তোলার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে রেখে আসে। অভিযোগ, আজ শুক্রবার সকালে সেই নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ওই কিশোরের পরিবারে ফোন করে জানানো হয় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই হাসপাতালে আসতে বলা হয় পরিবারকে। এই খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা ছেলের মৃতদেহ দেখতে পান। আর তৈরি হয় উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে নামছেন অভিষেক, দেবীপক্ষে হতে চলেছে দেদার জনসংযোগ
আর কী জানা যাচ্ছে? পরিবার সূত্রে খবর, ওই কিশোরের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তা না পেটালে থাকা সম্ভব নয়। কিশোরের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই পরিবারের সদস্যরা। ওই কিশোরের দেহে আগুনে পোড়ানো লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই তার দেহে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। মারের আঘাত সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের বলে পরিবারের অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এমনকী গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।