দুজনেই দাবি করেছিলেন যে চেকটি তাঁদের হাতে রয়েছে সেটি রাজারহাট গোপালপুর পঞ্চায়েত অফিসের। সেই চেক দিয়েই ১৫ লক্ষ টাকা তুলতে এসেছিলেন দুজনে। কিন্তু এনিয়ে সন্দেহ হয় ব্যাঙ্ককর্মীদের। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে। এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর যে চেক তারা নিয়ে এসেছিলেন সেটি জাল চেক। সেটি দিয়েই তারা টাকা তুলতে এসেছিলেন। বীজপুর থানার পুলিশ গিয়ে প্রথমে তাদের আটক করে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম শ্রীপর্ণা ঘোষ গঙ্গোপাধ্যায়। ৪০ বছর বয়সী ওই মহিলার বাড়ি কল্যাণীর বি-১ ব্লকে। ধৃত অপরজনের নাম শান্তনু চক্রবর্তী। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি শ্যামনগর সাহেব বাগানে। পুলিশ তাদের প্রাথমিকভাবে জেরা করে। কিন্তু তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।
ভুয়ো চেক ভাঙিয়ে এভাবে ১৫ লক্ষ টাকা তোলার চেষ্টার অভিযোগকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি ধৃত দুজন এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল কি না তা পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখছে। তবে এত বড় প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পরেও ধৃত যুবক কার্যত ভাবলেশহীন অবস্থায় ছিলেন। আদালতের নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে ফাঁসানো হচ্ছে।