কাকার কাছেও নিরাপত্তা পেল না ভাইঝি। মদ্যপ অবস্থায় ভাইঝিকেই গণধর্ষণ করল কাকারা বলে অভিযোগ। দুই কাকা মিলে ভাইঝিকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন বীরভূমের মানুষজন। স্থানীয় মানুষজনই ঘটনার কথা পুলিশের কাছে জানিয়ে দেন। পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে দুই কাকাকেই গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় নাবালিকা ভাইঝি ভেঙে পড়েছে। গোটা বিষয়টি এখন পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে খবর।
ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই নাবালিকার মা কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন। আর বাবা বহুদিন ধরেই নিখোঁজ। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দুই কাকার কাছেই বেড়ে উঠছিল নাবালিকা ভাইঝি। কিন্তু মেয়েটিকে নির্যাতনের শিকার হতে হল। বাবা–মা হারা মেয়েটিকে দুই কাকা মদ্যপ অবস্থায় রাতে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা সকালে এই খবর প্রতিবেশীদের জানালে তা চাউর হয়ে যায়। তাঁরাই মেয়েটিকে সাহায্য করতে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দুই অভিযুক্ত কাকাকে গ্রেফতার করেছে। বীরভূমের সাইঁথিয়ায় এখন এটাই চর্চিত বিষয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশকে নাবালিকা সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছে। তার ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। নাবালিকার অভিযোগ অনুযায়ী, দুই কাকা তাকে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অত্যাচার করে কাকারা। শুক্রবার বেলায় বিষয়টি প্রথমে প্রতিবেশীদের জানায় নির্যাতিতা। তারপর প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার রাতে নিজেই সাঁইথিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা। আজ, শনিবার এই খবর চাউর হয়ে যায় পুলিশ দুই কাকাকে গ্রেফতার করার পর।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী তার কাকারা মদ্যপ অবস্থায় তাকে গণধর্ষণ করে। এই নাবালিকার মা মারা গিয়েছেন এবং বাবা বহুদিন ধরেই নিখোঁজ। কাকার কাছেই মেয়ে রেখে মারা যান মা। আর সেই ভাইঝিকে ধর্ষণ করে কাকারা। ওই নাবালিকার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাকে সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আর এই বিষয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালিকারও মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেও বিষয়টি নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করছি।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup