পরিস্থিতি ভয়াবহ। এনআরএস হাসপাতালে লাশ কাটার ঘরে ডোমের চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই যে আবেদন এসেছে তা আরও একবার সামনে আনল রাজ্যের বেকারত্বের ভয়াবহ পরিস্থিতিকে। উচ্চতর ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই যে এখনও চাকরি পাননি সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল। কার্যত বাধ্য হয়েই তাঁরা ডোমের চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চাকরির জন্য যোগ্যতামান লাগবে অষ্টম শ্রেণি পাশ। গত ডিসেম্বর মাসে এই চাকরির কথা ঘোষণা করেছিল হাসপাতার কর্তৃপক্ষ। এদিকে দেখা যাচ্ছে সেই শূণ্যপদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে প্রায় হাজার দুয়েক। তার মধ্যে অনেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা আবেদন করেছেন।
এদিকে বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল ডোমের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ও লাশঘরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর, উচ্চ ডিগ্রি যুক্তরা বিএ, এমএ পাশ যুবকরাও এই পদে কাজ করতে চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাদের সকলকেই প্রথম দফায় বাতিল করা হয়নি।এদিকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে ডোমের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন অনেককেই অ্যাডমিট কার্ড পাঠানো সম্ভব হয়নি। মোট ৭৯৮জনকে অ্যাডমিট কার্ড পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে অনেকেরই উচ্চ ডিগ্রি রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের দাবি আসলে এত আবেদনপত্র জমা পড়েছে যে ঝাড়াই বাছাই করতে গিয়ে সমস্য়ায় পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডোমের চাকরির জন্যই আবেদন করেছেন উচ্চশিক্ষিতরা।