বছর ঘুরলেই প্রথমদিকে শুরু হয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। এখন থেকেই তার আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার আর করোনাভাইরাসের দাপট নেই। তাই ২০২৩ সালের গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসন। তাই আগত পুণ্যার্থীদের সমস্যার সম্মুখীন যাতে না হতে হয় তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার আগে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং। এই কাজের জেরে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এখানে টানা ঘড়ি ধরে কাজ হচ্ছে বলে সাগরদ্বীপ মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন থাকছে।
ঠিক কী ঘটেছে গঙ্গাসাগরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানে ড্রেজার মেশিন নামিয়ে নদীর বুক থেকে পলি তোলার কাজ চলছে। তার জন্য ভেসেল পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সারাদিনে মাত্র চার ঘন্টা চলছে ভেসেল পরিষেবা। তাতে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। ঠিক সময়ে ভেসেল পরিষেবা না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। এই অল্প সময়ের ভেসেল পরিষেবা পেয়ে নিত্যযাত্রীরা বলছেন, পরিষেবা কার্যত বন্ধ। ভেসেল পরিষেবা পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রীরা নৌকার মাধ্যমে সাগরের কচুবেড়িয়া থেকে কাকদ্বীপ লট নম্বর আট ভেসেল ঘাটে আসতে বেশ চাপে পড়ে যাচ্ছেন।
কী পদক্ষেপ করেছেন নিত্যযাত্রীরা? এই ঘটনা দেখে সাগরদ্বীপের ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার দাবি তুলে নিত্যযাত্রীরা সরব হয়েছেন। তারপরই এই সমস্যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। এমনকী তিনি জানান, সাগর মেলায় যাতে কোনরকম তীর্থযাত্রী সমস্যায় না পড়েন তার জন্যই এই কাজ চলছে। পাঁচটি ড্রেজার দিয়ে নদীর পলি তোলার কাজ চলছে। তাই জোয়ারের সময় চার ঘণ্টা ভেসেল চালানো হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই চার ঘন্টা ভেসেল পরিষেবা নেলার কারণ হল, মুড়িগঙ্গা নদীর যে চ্যানেলের মাধ্যমে ভেসেল চলাচল করে সেটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভূতল পরিবহন নিগমের এক কর্তা জানান, এই সমস্যা থেকে দ্রুত যাতে মুক্তি পায় মানুষজন তার আবেদন জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হতে চলেছে। ২০২৩ সালে গঙ্গাসাগরের মেলায় কোনরকম গাফিলতি যাতে না থাকে তার জন্য সচেষ্ট রাজ্য প্রশাসন।