নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের মামলা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন৷ আর এরই মাঝে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী দাবি করলেন, ‘দলীয় কর্মীদের অসহযোগিতাতেই নন্দীগ্রাম থেকেবিধায়ক হতে পারেননি রাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়৷’ অন্তত ভাইরাল হওয়া এক অডিয়ো ক্লিপের বরাত দিয়ে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে৷ যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা৷
তাঁর মমতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই পথে হেঁটে রাজনীতি করেছেন সুব্রত বক্সী৷ এহেন হেভিওয়েট নেতাকেই অডিয়ো ক্লিপে মন্তব্য করতে শোনা যায়, ‘দলীয় কর্মীদের অসহযোগিতাতেই নন্দীগ্রাম থেকেবিধায়ক হতে পারেননি রাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷’ ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে একটি পুরুষ কণ্ঠকে বলতে শোনা যাচ্ছে এই মন্তব্য৷ পরে দাবি করা হয়, ওই পুরুষ কণ্ঠটি নাকি আদতে সুব্রত বক্সীর৷
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা৷ সেখানে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারী৷ খুব কম ভোটের ব্যবধানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেন শুভেন্দু৷ যদিও এর আগে সংবাদ সংস্থার খবরে দাবি করা হয়েছিল নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা৷ ভোটের ফলপ্রকাশের পরই মমতা দাবি করেছিলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে নন্দীগ্রামে হারানো হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়৷ সেই মামলা এখনও অমীমাংসিত৷ যদিও এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদ টিকিয়ে রাখতে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন মমতা৷ তবে এরপরও নন্দীগ্রামে তাঁর পরাজয় নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে সন্দেহ, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব কাটেনি৷ ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে ফের একবার সেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠল৷