বাতিল হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। একই পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। তবে দশম এবং দ্বাদশ পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অবশ্য লিখিত পরীক্ষা হবে না। অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে ঠিকমতো প্রস্তুতির অভাবে গত সোমবার পাঠভবন এবং শিক্ষা-সত্রের প্রি-ডিগ্রি পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তারপরই পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বুধবার বৈঠকে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পরে বিশ্বভারতীর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৫ জুলাই থেকে এবারের পাঠভবন এবং শিক্ষা-সত্রের প্রি-ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হবে। জুম, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও অডিয়ো-ভিসুয়াল লিঙ্কের মাধ্যমে অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষা হবে। কবে ও কোথায় পরীক্ষা হবে, কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, সে বিষয়েও দ্রুত জানানো হবে।
এমনিতে করোনা পরিস্থিতিতে আগেই দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। পরে বাতিল হয়ে যায় দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাও। বেশিরভাগ রাজ্যের বোর্ডও সেই পথে হেঁটেছে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বাতিল করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পড়ুয়া, অভিভাবক ও আমজনতার থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল, তাতে ৭৯ শতাংশ মানুষ মাধ্যমিক বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের বাতিল পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৪ শতাংশ মানুষ। সেইসঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটির বিবেচনা করা হয়েছে। মমতা বলেন, 'প্রত্যেকের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের একটা পর্যবেক্ষণও আছে। বিশেষজ্ঞ কমিটিও বলেছে যে এই সময় পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। যেহেতু মহামারী চলছে, অনেক স্কুল সেফ হাউস হয়ে গিয়েছে। নানা রকম ব্যাপার আছে। তাই আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিচ্ছি না।'