উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুরের দূরত্ব প্রায় ৫১৭ কিলোমিটার। আর ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার হচ্ছে সেই চোপড়ায়। গল্পকথা নয়, একেবারে সত্য়ি। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার একাধিক প্রত্যন্ত গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে প্রচার করছেন তৃণমূল কর্মীরা। দেওয়ালও লেখা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। দেওয়ালে লেখা হয়েছে, বাংলার মেয়ে বাংলার হবে, ভবানীপুরে খেলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপুল ভোটে জয়ী করানোর আবেদন জানানো হয়েছে দেওয়াল জুড়ে। তবে অনেকেরই প্রশ্ন, কোথায় ভবানীপুর আর কোথায় চোপড়া। সাধারণ মানুষও এনিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। এই তো সবে ভোট গেল। আবার দেওয়াল লিখন!
পতাকা কাঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। দেওয়াল লিখনের নীচে যথারীতি সৌজন্যে বিধায়ক সহ একাধিক নেতার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কেন ভবানীপুর আসন থেকে এত দূরে চোপড়ায় নেত্রীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন করা হচ্ছে? তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য ভবানীপুরের মানুষের কাছে আবেদন জানানোর জন্যই এই দেওয়াল লিখন করা হচ্ছে।
তবে গোটা ঘটনায় জোর কটাক্ষ বিজেপি শিবিরের। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুরজিৎ সেন বলেন, কতটা হাস্যকর বিষয়। তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নিজের আসনেই বিজেপি প্রার্থীকে ভয় পাচ্ছেন। তাই বাংলা জুড়ে প্রচার করতে হচ্ছে। আসলে বাইরে থেকে লোক এনে, ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভবানীপুরে ভোট করাতে চাইছে তৃণমূল। সেকারণেই এত দূরে প্রচার করা হচ্ছে।