এবার সিআইডির হাতে গ্রেফতার হল বিজেপি নেতাকে। কারণ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি খুনের ঘটনায় প্রথমে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতের স্ত্রী। তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। অবশেষে দিনহাটায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির মৃত্যুতে দলেরই এক নেতাকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এই নেতার নাম চন্দন মণ্ডল। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।
ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন রাজ্যে একুশের নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছিল। মার্চ মাসে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন দলের মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকার। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই দিনহাটায় বিজেপি পার্টি অফিস লাগোয়া পশু চিকিত্সালয়ের বারান্দায় অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে থানার সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। এমনকী, সেদিন উদয়ন গুহর বাড়ির সামনে বোমাবাজি করা হয়েছিল।
একুশের নির্বাচন শেষ হয়ে নতুন সরকার শপথ নিয়েছে। তারপর নিহত বিজেপি নেতার ময়নাতদন্ত হয় দু’দফায়। তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিতই মিলেছিল। তদন্তের পর কমিশনে রিপোর্ট জমা দেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। অবসাদে ভুগছিলেন অমিত সরকার। বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে হতাশ হন। সেই হতাশা থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ওই বিজেপি নেতার সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্কের উল্লেখও রয়েছে রিপোর্টে।
সিআইডি সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তে নেমে এবার বিজেপিরই নেতা চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ তদন্তকারীদের দাবি, দলের নিহত মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারকে শেষবার এই চন্দনের সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। আর ধৃত ব্যক্তি অমিতকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।