শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে ইডি–সিবিআই। আবার শিক্ষক–শিক্ষিকার চাকরির দাবি নিয়ে পথে বসে আন্দোলন করছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীরা তুললেও তাঁদের নিয়ে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। যদিও আইনি জটে গোটা নিয়োগটি আটকে আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান এই নিয়োগ হয়ে সকলে চাকরি পান। তাই আজ বুধবার বর্ধমানের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা শুনে অনেকেই একটু অক্সিজেন পেলেন।
এদিকে লোকসভা নির্বাচন সামনে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর এই নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। রাম–বামরা কোর্টে কেস করে নিয়োগ আটকে রেখেছে। ৬০–৭০ হাজার ছেলেমেয়ে স্কুলে চাকরি পেত। সেটা আদালতের জটিলতায় আটকে রয়েছে। শূন্যস্থান ভর্তি করতে হবে এই সমস্যা মিটিয়েই। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এরা সরকারের হাত–পা বেঁধে রেখেছে। শূন্যস্থান পূরণের যাতে ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য আমি আবেদন করব। একাধিক দফতরে প্রচুর লোক নেওয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে আজ তিনটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে যে মানুষের উপকার হবে সেটাও বুঝিয়ে দেন। আবার রাজ্যের রাজস্বও বাড়বে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডানকুনি থেকে রঘুনাথপুর ভায়া বর্ধমান বাঁকুড়া পর্যন্ত একটি করিডর হবে। দ্বিতীয়টি হবে ডানকুনি থেকে কল্যাণী। আর তৃতীয়টি হবে ডানকুনি থেকে হলদিয়া।’ উত্তরবঙ্গেও ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তার ফলে বিপুল পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘যদি কেউ পয়সা চায়, ধরে দুটো থাপ্পড় দিন’, জনসভা থেকেই দাওয়াই দিলেন মমতা
এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের ১১০৮২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৩৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। কাটোয়াতে ১০০ সজ্জা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে। ১২ হাজার রাস্তা তৈরি হবে গ্রামগুলিতে। আব তৈরি করা হবে মেগা হ্যান্ডলুম হাব। খরচ হতে চলেছে ৩৪ কোটি ৩২ লাখ। রাম মন্দিরের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা নিয়েও মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ধর্মের নামে ছুটি দিচ্ছে। এতে আমার আপত্তি নেই। নেতাজি যে দেশের জন্য জীবন দিলেন তার জন্য ছুটি ঘোষণা করা হল না। সেটা লজ্জার। বাংলা সভ্যতা–সংস্কৃতিকে অপমান করা হচ্ছে। বাংলা না থাকলে স্বাধীনতা সংগ্রাম হতো না।’