আগেরবার প্রথম দশে ছিলেন ৫১ জন। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪। কিন্তু মেধাতালিকায় ঠাঁই পেলেন না কলকাতার কোনও স্কুলের পড়ুয়া।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলতি বছর ১৩৯ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে মেধাতালিকা প্রকাশ করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education বা WBBSE) সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এবার মেধাতালিকায় সবমিলিয়ে ৮৪ জন রয়েছেন। তাতে পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা রীতিমতো শাসন করেছে। এছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং, বীরভূম, মুর্শিবদাবাদ, হুগলি, হাওড়া, পুরুলিয়া-সহ অধিকাংশ জেলাই রয়েছে। কিন্তু নেই শুধু কলকাতার নাম।
সামগ্রিকভাবে কলকাতায় পাশের হারও কমেছে। গতবার পাশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কলকাতা (৯২.১৩ শতাংশ)। এবার একধাপ নীচে নেমে গিয়েছে। এবার কলকাতায় পাশের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯১.০৭ শতাংশ।
তবে কী কারণে মেধাতালিকায় ঠাঁই পেল না কলকাতার কোনও পড়ুয়া, তা নিয়ে বিশদে বলতে চাননি পর্ষদ সভাপতি। তথ্য বিশ্লেষণের দায়িত্ব তিনি সাংবাদিকদের উপরই ছেড়ে দেন। একইসঙ্গে জানান, এটা সারা রাজ্যেরই পরীক্ষা। তিনি সারা রাজ্যের ফল ঘোষণা করেছেন। তবে পর্যদ সভাপতি এটাও জানান, কলকাতার অনেক পড়ুয়া হয়তো পুরুলিয়া বা বাঁকুড়ার স্কুলে গিয়ে পড়ছেন। সেক্ষেত্রে সেই স্কুল থেকে মেধাতালিকায় থাকতে পারেন।