প্রধানমন্ত্রী পাহাড় সফরে আসার কদিন আগে তাঁকে চিঠি লিখেছিলেন দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ লিম্বা। আশা ছিল প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ে জনসভা করতে এসে কোনও স্পষ্ট দিশা দেবেন। কিন্তু হতাশ ধীরজ লিম্বা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশার কথা শোনালেও তা খুব উপর উপর বলে মনে করছেন তারা। জিএনএলএফ এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তাই চাইছে বিজেপির ইস্তাহারে পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের বিষয় স্পষ্ট কিছু বলা হোক। ফের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি গিয়েছেন মোর্চার রোশন গিরি ও জিএনএলএফের মন ঘিসিং।
এর আগেও ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে তাঁরা আশা করেছিলেন বিজেপির তরফে পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, পাহাড়ে ১১টি সম্প্রদায়কে মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছাড়া স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে সে ভাবে কিছু বলা হয়নি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয় সেই সমাধান খুঁজতে তারা 'প্রতিশ্রুতিবদ্ধ'। যদিও মোর্চাদের দাবি পৃথক গোর্খাল্যান্ডের হলেও সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। তা নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে দুটি সংগঠনের মধ্যে।
আরও পড়ুন। লোকসভার আগে তমলুকে ধাক্কা খেল তৃণমূল, বিরাট ব্যবধানে ভোটে জয়ী বিজেপি
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ত দিয়ে চিঠিও লেখেন নীরজ জিম্বা। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। প্রধামমন্ত্রী পাহাড়ে এসে স্পষ্ট করে তাদের দাবি নিয়ে কিছু বলেননি। নীরজের কথায়, 'দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী সমাধানের কথা বলা হলেও বিজেপির তরফে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।'
আরও পড়ুন। মতুয়াকার্ড থাকলেই নাগরিকত্ব! শান্তনু ঠাকুরের দাবিতে তরজা তৃণমূল-বিজেপিতে
বিজেপি সংসাদ রাজু বিস্তা কিছু উদ্যোগ নিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই লোকসভা ভোটের আগে ফের বিজেপি দ্বারস্থ মোর্চ ও জিএনএলএফ। এখনও তাঁদের আশা ইস্তাহারে এবার যদি কিছু স্পষ্ট করে ঘোষণা করে তার। কারণ দুটি সংগঠনই মনে করে এবার দার্জিলিংয়ে জিতবে বিজেপি।
আরও পড়ুন। সিএএ কার্যকর হওয়ায় ভোটারের নাম কি বাদ পড়বে? ভোটার তালিকা নিয়ে রইল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ