ঝাড়খণ্ড থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার বাস সীমান্তে আটকে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শনিবার প্রশাসনিক সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
শুক্রবার দুমকা থেকে পশ্চিমবঙ্গগামী চারটি বাস ১২০ জন শ্রমিককে নিয়ে রওনা দেয়। ওই বাসগুলিতেই ফেরার কথা ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা ও মালদায় আটকে পড়া ঝাড়খণ্ডের ১০০ শ্রমিকের।
দুমকার ডেপুটি কমিশনার বি রাজেশ্বরী জানিয়েছেন, বাসগুলি বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়। আন্তঃরাজ্য বাস চলাচলের বিষয়ে কোনও নির্দেশ পাওয়া যায়নি জানিয়েছেন সীমান্তে কর্মরত আধিকারিকরা।
ধানবাদের ডেপুটি কমিশনার অমিত কুমার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে বাংলার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চললেও তাঁরা ভিনরাজ্যে যাতায়াতকারদী বাস ছাড়তে নারাজ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সাহেবগঞ্জ জেলা থেকে বাংলার শ্রমিকদের নিয়ে চারটি বাস পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়েছিল ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। ওই বাসে ফেরেন মুর্শিদাবাদের ৩৮ শ্রমিক আর ফিরতি পথে সওয়ারি হন ঝাড়খণ্ডের ৭২ জন শ্রমিক। তাঁরা শুক্রবার সাহেবগঞ্জে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: ঘরে ফেরা শ্রমিকদের জন্য তৈরি রাজ্য, চড়ছে সংক্রমণের পারদ
বাংলা সীমান্তে বাধা পেলেও আপাতত ওডিশা, ছত্তিশগড়, বিহার ও মধ্য প্রদেশে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বাস পাঠাচ্ছে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। রবিরা সকালে এই ৪ রাজ্যের উদ্দেশে ২০০টির বেশি বাস রওনা হয়েছে।
এর আগে উত্তর প্রদেশ সীমান্তেও বাধা পেয়েছিল ঝাড়খণ্ড সরকারের পাঠানো বাস। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসেনর সঙ্গে এই বিষেয় আলোচনায় সিদ্ধান্ত হলে ফের বাস পাঠানো হবে।
এ ছাড়া কেরালা থেকে আরও ২টি ট্রেনে শ্রমিকদের ফেরত আনা হবে বলে জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। কোটা থেকে ফেরানো হবে ছাত্রদেরও। শুক্রবার তেলাঙ্গনা থেকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ফিরেছেন ঝাড়খণ্ডের একদল শ্রমিক।