পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে ফের টুইটে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এর্নাকুলামের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৯ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তার মধ্যে ৬ জনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের গণতন্ত্রের পরিবেশ নিয়ে এদিন টুইটে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।
টুইটে এদিন তিনি লিখেছেন, বেআইনি বোমা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে রাজ্য। এতে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে রুখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যাঁরা পুলিশ–প্রশাসনে উচ্চপদে রয়েছেন, তাঁরা রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
এর পর তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে টুইটে লেখেন, রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে অনেক দূরে রয়েছেন ডিজিপি। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ যা কাজ করছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয় কিন্তু তারাই যখন রাজনৈতিকভাবে নির্দেশিত হন সেটা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
যদিও রাজ্যপালের এই টুইট প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, বেশিরভাগ জঙ্গি সীমান্ত হয়েই পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে। সে ক্ষেত্রে বিএসএফ কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তারা তো কেন্দ্রের অধীন। তাই রাজ্যকে আগে দোষারোপ না করে কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চাওয়া উচিত রাজ্যপালের।
এদিকে, এই ঘটনায় বিজেপি–র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃতদের নাম নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়েন আহমেদ, আল মামুন কামাল এবং আতিতুর রহমান। তারা সবাই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কেরালায় এনআইএ–র জালে ধরা পড়েছে মোশারাফ হোসেন, ইয়াকুব বিশ্বাস এবং মুরশিদ হাসান। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ধৃতদের কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের আদালতে তোলা হবে।