গত ১৯ এপ্রিল এই বারাসত হাসপাতালেই টিকার লাইনে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল। সেই ছবিই দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। শুধু বারাসত নয়, জেলায় জেলায় এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলার ছবি। আর বুধবার বারাসত হাসপাতালে তা একেবারে কার্যত হাতাহাতির জায়গায় পৌঁছল। স্থানীয় সূত্রে খবর, দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য এদিন ভোর রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বাসিন্দারা। লাইনে কে আগে রয়েছে, আর কে পরে এনিয়ে প্রথমে তর্কাতর্কি। এরপরই তা বদলে গেল হাতাহাতিতে। একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ। করোনা সতর্কতা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন। তবে অন্যান্যরা দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন।লাইনে দাঁড়ানো বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কেউ কাউকে মানছে না। লাইন যাতে যথাযথ থাকে সেটা দেখারও কেউ নেই। হাসপাতালের একাংশের সঙ্গে পরিচিতি থাকার সুযোগে কয়েকজন এগিয়ে যাচ্ছেন। এর জেরে অন্যান্যরা পড়ে যাচ্ছেন সমস্যায়। তার জেরেই এদিন বচসা ও হাতাহাতি বেঁধে যায়। তবে এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেগঙ্গার সরকারি হাসপাতালেও এদিন টিকা পেতেও ব্যাপক হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে চাহিদা অনুসারে টিকার যথাযথ সরবরাহ না থাকার কারণেই সমস্যা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরেও টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে তীব্র হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কতদিন পরে পাওয়া যাবে তা নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।