কাঁথি পুরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ও অন্যান্য সদস্যদের চরম কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন শুভেন্দু। এমনকী তাদের নাম নিতে ইচ্ছা করে না বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঁথির ডরমেটরি মাঠে বিজেপির যোগদান মেলায় এই মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
গত মঙ্গলবার শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দুকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপাসরণ করে তৃণমূল সরকার। বদলে প্রশাসক হিসাবে বসানো হয় সিদ্ধার্থ মাইতিকে। সেই সিদ্ধার্থ মাইতি-সহ নবনিযুক্ত বোর্ডের সদস্যদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ‘এসব মালঝাল নিয়ে জিততে পারবেন না।’
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘আর দেখুন কাদের বসিয়েছে। তাদের কলেজের ফর্ম তো আমি ফিল আপ করেছিলাম। পৌরসভা চালাতে গেলে ভোর তিনটের সময় রাস্তা ঠিক মতো ঝাঁট দেওয়া হল না কি তার তদারকি করতে হয়। এরা সেসব করবে কি? একজন তো এখানকার ভোটারই নয়। রামনগরের ভোটার। আরেকজন বলে অধিকারী পরিবারই সব করবে না কি? আমরা তো ভোটে জিতি। মানুষ যদি হারিয়ে দিত তাহলে তো সুযোগ হতো না’।
সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘কাঁথি শহর তৃণমূলের যিনি সভাপতি। এসব নাম বলতে ইচ্ছা করে না। আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য ৭ দিন বসে থাকতো। আমি এদের নাম বলবো না। এসব কম ক্যাটাগরি মালঝালকে তুলছে মমতা ব্যানার্জি। এই মালটালদেরকে দিয়ে আপনি জিততে পারবেন না। শুনে রাখুন কান খুলে’।
এর পরই তৃণমূলের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলকেই বেঁধেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘আমার সঙ্গে কী ডিল হয়েছে বিজেপির? ডিল হয়েছে, SSC পরীক্ষা প্রত্যেক বছর হবে। প্রতিবছর চাকরি হবে। ডিল হয়েছে, টেট পাশ করা প্রার্থীরা চাকরি পাবে। ডিল হয়েছে, ২০০০-৪০০০ টাকা বেতনের কর্মচারী থাকবে না। যার । যেটা প্রয়োজন সরকার সেটা দেবে। ডিল হয়েছে আয়ুষ্মান ভারত চালু হবে পশ্চিমবঙ্গে। আমার সঙ্গে ডিল হয়েছে বিজেপির, কৃষক সম্মান নিধি যোজনায় ৭৩ লক্ষ কৃষক ৬,০০০ টাকা করে পাবে। আমার সঙ্গে ডিল হয়েছে, সুশাসন আসবে’।
এদিনের সভায় শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথি পুরসভার অপসৃত প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন আরও ১৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন সশরীরে সভায় হাজির ছিলেন। বাকি ২ জন শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিঠি পাঠিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এর ফলে ২১ আসনের কাঁথি পুরসভায় ১৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর যোগ দিলেন বিজেপিতে।