দাম্পত্যকলহের জেরে মালদার ইংরেজবাজারের কমলাবাড়িতে নৃশংস মৃত্যু হল এক কিশোরীসহ ৩ জনের। অভিযোগ, স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে না চাওয়ায় কুড়ুল দিয়ে বাপের বাড়ির লোকেদের কোপাতে থাকেন এক যুবক। এর পর পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁরও। কী কারণে যুবক এমন উন্মত্ত হয়ে উঠলেন তা বুঝতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টুবাই মণ্ডল (৩৫) নামে ওই প্রবাসী শ্রমিক দিন কয়েক আগে বাড়ি ফেরেন। স্ত্রী নির্মলার সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছিল। বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী বাপের বাড়িতে রয়েছেন। এর পর কমলাবাড়ির বাঁধাপুকুর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে যান তিনি। সেখানে স্ত্রীকে ফেরার জন্য আবেদন করতে থাকেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি বলে দাবি। এর পর হঠাৎ উন্মত্ত হয়ে ওঠেন টুবাই। কুড়ুল নিয়ে সবাইকে কোপাতে শুরু করেন। কুড়ুলের কোপে আহত হন টুবাইয়ের শ্যালকের স্ত্রী দীপ্তি সিংহ মণ্ডল (২৪), শ্যালকের কিশোরী কন্যা লক্ষ্মী মণ্ডল, টুবাইয়ের স্ত্রী নির্মলা। এর পর বাড়ির ছাদে উঠে পালাতে যান যুবক। ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁরও।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দীপ্তি, লক্ষ্মী ও টুবাইকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎকরা। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন নির্মলাদেবী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা বোঝার চেষ্টা করেন আধিকারিকরা। স্থানীয়রা বলছেন, বছর কয়েক আগে নির্মলার বিয়ে হয়েছিল। জামাই বাইরে কাজ করত। ফলে মাঝে মাঝেই নির্মলা বাপের বাড়ি এসে থাকতেন। কিন্তু কী কারণে টুবাই এমন উন্মত্ত হয়ে উঠলেন তা বুঝতে পারছেন না তাঁরাও।