লোকসভা ভোটের আগে খাস কলকাতায় সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন। বরাহনগর সিপিএম পার্টি অফিসে সোমবার গভীর রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে বলে খবর। তখন সেখানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এরপরই এক দম্পতি সেই আগুন দেখতে পান। তাঁরা জানাতেই তৎপর হয়ে স্থানীয়রা সেই আগুন নিভিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিপিঅম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, এর নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে। ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে তন্ময় ভট্টাচার্যের দাহি, পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে।
‘তৃণমূলের কাউন্সিলারের দুষ্কৃতী… আর কত স্পষ্ট করে বলব..’ এই বক্তব্য জানিয়ে, তন্ময় ভট্টাচার্য দাহি করেছেন, ভোটের আগে গভীর রাতের অন্ধকারে তাঁদের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পার্টি সদস্যদের দাবি, কেরোসিন কিম্বা পেট্রোল ঢেলে পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তন্ময় ভট্টাচার্যের সাফ হুঁশিয়ারি ‘তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব, এটা ২০১১ এর সিপিএম নয়, এটা ২০২৪ এর সিপিএম।’ প্রসঙ্গত, বরাহনগর পুরসভার নপাড়ায় রয়েছে সিপিএমের পার্টি অফিস। সেখানে সোমবার গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার নেপথ্যে। মঙ্গলবার সকালে আগুনে দগ্ধ পার্টি অফিসের পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন তন্ময় ভট্টাচার্য। তখনই তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ এসে জানায়, সিসিটিভি অকেজো। তৃণমূল কাউন্সিলারের নেতৃত্বেই দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমরা আপাতত বলছি, পুলিশ দায়িত্ব পালন করুক। যদি পুলিশ দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে আমরা দুদিন দেখব, তিনদিন দেখব, চারদিন দেখব, তারপর তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব যে এটা ২০১১ সালের সিপিএম নয়, ২০২৪ সালের সিপিএম… তৃণমূল যেন মনে রাখে।’
সিপিএমের অভিযোগ ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা সুনাত বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এদিকে, তৃণমূল বলছে, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। এমনই জানিয়েছেন, বরানগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুনাত বিশ্বাস।