করোনা পরিস্থিতিতে গত ২ বছরে পাল্টেছে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার নানান দিক। এদিকে, করোনার জেরে দেশে কঠোর বিধির মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সংগঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই সময়ে ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় স্রোতের সময় বোর্ডের পরীক্ষায় বহু রদবদল আসে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই সময়, করোনার জেরে সিলেবাসে কিছুটা বদল আনা হয়। সেই সময়, শোনা যাচ্ছে, সেই 'বদল'কে ফের বদলে দিয়ে পুরনো পন্থাতেই সিলেবাসের দিকে ফিরে যাবে সংসদ।
উল্লেখ্য, করোনার জেরে দেশে একাধিক কঠোর বিধি পালিত হয়। সেই সময় সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ে জোর দিয়ে তড়িঘড়ি স্কুলের মধ্যে ক্লাসে পঠপাঠন বন্ধ করে, অনলাইনে শুরু হয় ক্লাস। পরীক্ষাও নেওয়া হয় প্রায় ৭০ শতাংশ সিলেবাসের উপর। বাকি ৩০ শতাংশ সিলেবাস কাটছাঁট করা হয়। তবে করোনার দ্বিতীয় স্রোতের পর থেকে আপাতত পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খানিকটা আসতেই ফের স্কুলের দরজা কয়েকটি বিধি মেনে খুলতে শুরু করছে। শোনা যাচ্ছে সেই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক ফের স্বাভাবিক ছন্দেই হবে। ফলে যে ৩০ শাতাংশ সিলেবাস থেকে কাটছাঁট করা হয়েছিল তা ফের সংযুক্ত করেই করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতো করে হতে চলেছে পরীক্ষা।
শুধু জল পান করেই ওজন দ্রুত কমিয়ে ফেলুন! এই উপায়ে চটজলদি পাবেন ফলাফল
জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে কোভিড যদি মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বা পরিস্থিতি বর্তমান অবস্থা থেকে পাল্টে যেতে থাকে, তাহলে ফের নতুন করে ভাববে সংসদ। উল্লেখ্য, জুন মাসের চতুর্থ সপ্তাহে বের হতে পারে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। আর দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশ্যে আসতে পারে, মাধ্যমিকের ফলাফল। গত বছর উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিকাল থেকে নেওয়া হয়েছিল। তবে এবারের পরীক্ষা হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে।