সন্ধ্যার আনন্দ মিলিয়ে যায় রাতে। হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে যায় সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের জামিন মঞ্জুরের রায়। তবে প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়ে অনেকটাই মুষড়ে পড়েছিল সিবিআই। সেই রাউন্ডে তৃণমূলের হয়ে ব্যাট ধরেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে।
এদিন বেশ কয়েকটি যুক্তি রেখেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তিনি বলেন, ভিডিয়োতে কেউ ঘুষ চাননি ৷ ঘুষ না চেয়ে এমনি হাতে ঘুষ ধরিয়ে দিলে সেটাকে ঘুষ বলা যায় না। তাঁর আরও যুক্তি ছিল, রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই এই মামলার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ার। এটা একটা পাঁচ বছর আগের মামলা। প্রত্যেকে সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ফিরহাদ হামিক কলকাতা পুরসভার প্রশাসকের পদে রয়েছেন। তিনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল রয়েছেন। এই পরিস্থিতি তাঁর গ্রেফতারি সাধারণ মানুষের ক্ষতি ডেকে আনবে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল করোনা পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় গ্রেফতার করা যাবে না।
এছাড়া এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের মন্ত্রী। তারা কোথাও পালিয়ে যাননি। এই সময়ের মধ্যে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ ওঠেনি। ফলে জামিন পেলে প্রমাণ লোপাট করে দেবেন এমন আশঙ্কা নেই।'
এদিকে সিবিআইয়ের দাবি এই মামলায় একাধিক বিষয় উঠে এসেছে যেগুলি সম্পর্কে আরও তথ্য প্রয়োজন সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের পক্ষে আদালতে বলা হয়েছিল, গ্রেফতার হওয়া চার নেতাই প্রভাবশালী। তদন্তপ্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে। সেইজন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। আদালত থেকে বেরিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯, দুর্নীতিদমন আইনের ১১, ১৩(১-বি), ১৩(২) ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে চার নেতার বিরুদ্ধে।