তাঁর ‘প্যাক আপ’ মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। সোমবার একাধিক সংবাদমাধ্যকে সাক্ষাৎকারে এব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করেন তিনি। মদনের মুখে এদিন বারবার শোনা যায় শুভেন্দু অধিকারী ও প্রশান্ত কিশোরের নামও।
এদিন মদন মিত্র বলেন, ‘এবার সামগ্রিক প্যাক আপ। মানুষের জন্য প্যাক আপ। বাংলার জন্য প্যাক আপ। প্যাক আপ করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে’।
শুভেন্দু প্রসঙ্গে আসতে দেরি করেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। বলেন, ‘শুভেন্দু আমার খুব প্রিয় সহকর্মী। দীর্ঘদিন ধরে সুসম্পর্ক। পশ্চিমবঙ্গে এমন একটা প্যাক আপ দরকার যেটা মানুষ চাইছে’।
তবে তিনি যে বিজেপিমুখি নন সেই ইঙ্গিতও দেন মদনবাবু। বলেন, ‘বাংলার বুকে বাংলার সংস্কৃতি এই জায়গাটায় যেন আপোস না হয়’।
প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কাজে যে তিনি অসন্তুষ্ট এদিন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মদনবাবু। বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোর আমাদের পরিসংখ্যানবিদ। তিনি আমাদের কিছু কম্পিউটার দিয়েছেন। তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। তবে কখন প্যাক আপ হবে তিনি বলছেন কেন? আমার মনে হয় রাজনৈতিক প্যাক অপের সময় হয়েছে’।
মদনবাবু বলেন, ‘অনেক নাটক অনেক যাত্রা হয়ে গেছে। এবার ফাইনাল প্যাক আপ। আমাদের প্যাক আপ মানে তৃণমূল ছাড়া এখানে যাওয়া ওখানে যাওয়া না। আমাদের প্যাক আপ মানে যা নির্মম সত্যি, মানুষ যা চায় সেই প্যাক আপ। তৃণমূলে মেক আপ তোলার পালা চলছে’।
শুভেন্দুকে সন্ধির বার্তা দিয়ে মদন বলেন, ‘আমি আর শুভেন্দু একই নৌকায় রয়েছি। আমাদের দেখতে হবে সেই নৌকায় যেন ফুটো না হয়’।
মদন মিত্রর সতর্কবার্তা, ‘জীবন মরন সাঁকোর সামনে দল এখন দাঁড়িয়ে। বাংলা এখন দাঁড়িয়ে। এখন তোমায় বুঝতে হবে কী হবে আর কী হবে না। কোন সাঁকোটা পারাপারের কোন সাঁকোটা পার হবে না’।
এদিন ‘অনেকে বেশি পেয়ে গেছে’ বলেও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে ক্যাপ্সুল লিফটও নেই। আমাদের কথায় কথায় হেলিকপ্টারে চড়াও কপালে নেই। আমিও সম্পদ, আমিও তৃণমূলে আছি। যারা তৃণমূলে নেই, তৃণমূলের পতাকা ছাড়া কর্মসূচি করছে তারাও তৃণমূলে আছে। ব্যাপারটা গোলমাল হয়ে যাচ্ছে’।