শোভনবাবু ভাল আছেন। চক্রান্ত করে তাঁকে ‘বাড়ি’ ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার SSKM হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘শোভনবাবুর চিকিৎসার নামে প্রসহন চলছে। প্রতিবাদে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।’
বৈশাখীদেবী দাবি করেন, ‘শোভনবাবু গত ৮ বছর ধরে যে ওষুধগুলি চলছে সেগুলিই মাত্রা বদলে প্রয়োগ করছেন চিকিৎসকরা। তাঁর কোনও অস্ত্রোপচারও হয়নি। শোভনবাবুর ছুটির ব্যাপারে হাসপাতালের সুপারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলছেন, জেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবে। আবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তারা হাসপাতাল সুপারের দরজা দেখাচ্ছেন’।
সঙ্গে বৈশাখীদেবী দাবি করেছেন, হাসপাতাল থেকে ছুটি নিতে গেলে শোভনবাবুকে পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফিরতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁর ঘরে বহিরাগতরা ঢুকে হামলা করছে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে মামলা নিয়ে পরামর্শ করতে পারছেন না। শোভনবাবু একজন সাধারণ মানুষ। তাই কি তাঁর এই ভোগান্তি? তিনি বলেন, যাবতীয় লড়াই আইনি পথে লড়বেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
তবে বৈশাখীদেবীর মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, গত সোমবার জেলে যাওয়ার পরে সত্যিই কি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অসুস্থ ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? যে গুরুতর অসুস্থতার কথা বলে আদালত থেকে গৃহবন্দি থাকার অনুমতি আদায় করেছেন তাঁর আইনজীবীরা সত্যিই কি তিনি ততটাই অসুস্থ? নইলে একদিনের মধ্যে কী করে বাড়ি যাওয়ার জন্য চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিলেন তিনি?