করোনা আবহে পরীক্ষার বদলে আগের পরীক্ষার নম্বর যোগে মূল্যায়ন হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও মূল্যায়ন করা হবে একাদশের নম্বরের সাহায্যে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিকে আগের শ্রেণির পরীক্ষার নম্বরগুলি পাঠাতে হবে পর্ষদকে। এই আবহে এবার 'ভুয়ো' পরীক্ষার্থীদের নিয়ে স্কুলগুলিকে সতর্ক করল পর্ষদ।
জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্যে স্কুলগুলিকে নবম শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর পাঠাতে বলা হয়েছে পর্ষদের তরফে। তবে বহু ক্ষেত্রে স্কুলগুলির পাঠানো নম্বরে মিলছে অসঙ্গতি। এখনও পর্যন্ত শতাধিক স্কুলের জমা দেওয়া নম্বরে গরমিল মিলেছে বলে খবর। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও স্কুলের পাঠানো নম্বরে গরমিল থাকলে সেই স্কুলের মার্কস রেজিস্টার চেয়ে পাঠাবে পর্ষদ। গরমিল প্রমাণিত হলে পারে কড়া পদক্ষেপ।
২১ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই সময়ের মধ্যে ৯ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েছে। এখনও ২৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েনি। এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ নম্বর আপলোড হয়েছে, কোথাও আবার ভুল নম্বর আপলোড হয়েছে। অনেক স্কুলই এই ক্ষেত্রে নিজেদের ভুল মেনে নিয়েছে।
পর্ষদের তরফে জানা গিয়েছে, অনেক স্কুলের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যার থেকে জমা পড়েছে বেশি সংখ্যক পড়ুয়ার নম্বর। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক নম্বরেও ভুল দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষককে আটকে নম্বর বাড়ানো, কোথাও নম্বর কম দেওয়া হচ্ছে বলে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। এদিকে মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ না করা পড়ুয়ারাও এই মূল্যায়ন পদ্ধতির ফায়দা তুলে উতরে যেতে চাইছে।