সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে বিজেপির ৪২টি সাংগঠনিক ইউনিট রয়েছে। ১০ই জানুয়ারির মধ্যে জেলা স্তরে সমস্ত ইউনিটগুলি তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু বিদ্রোহ, ক্ষোভ. দ্বন্দ্বের জেরে সেই কাজ করতে গিয়ে হোঁচট খান নেতৃত্ব। তবে শেষ পর্যন্ত ২৭টি নতুন সাংগঠনিক জেলা কমিটি তৈরি করল বিজেপি। তবে এই নতুন কমিটিকে কেন্দ্র ফের ক্ষোভের আঁচ জেলায় জেলায়।
এদিকে ইতিমধ্যেই জেলাসভাপতিদের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন সাসপেন্ড হওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিভিন্ন জেলাতেই এনিয়ে ক্ষোভের পারদ চড়েছে। তার মধ্যে ফের তৈরি হল নয়া জেলা কমিটি। এদিকে দলের একাংশের মতে আদি বিজেপিদের আর জায়গা হচ্ছে না কমিটিতে। একাধিক নতুন মুখ আনা হচ্ছে কমিটিতে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
এদিকে এসবের মধ্যেই দলের উত্তর কলকাতা ইউনিটের সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুনীতা ঝাওয়ার। তিনি পাঁচবারের কাউন্সিলর ছিলেন। তবে এবার তিনি হেরেছেন। এদিকে এবার তাঁকে দক্ষিণ কলকাতায় দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তিনি কোনও দিনও কাজ করেননি। বরখাস্ত হওয়া নেতা রীতেশ তিওয়ারি টুইট করে লিখেছেন দল কীভাবে প্রকৃত বিজেপি কর্মীদের অবহেলা করছে তার নিদর্শন সুনীতা ঝাওয়ার। ভার্চুয়াল চক্রবর্তী আর টুইটার মালব্যের সৌজন্য়ে এসব হচ্ছে। এভাবেই অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত মালব্যকে বিঁধেছেন তিনি। তবে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, নদীর একপাড় গড়ে আর অপর পাড় ভাঙে। পরিবর্তন একটি চিরন্তন প্রক্রিয়া।