একইসঙ্গে বিধাননগর স্টেশনে একই প্ল্যাটফর্মে তিনটি ট্রেন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবরোধ করেন যাত্রীরা। যদিও যাত্রীদের মানতে নারাজ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। বরং পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র দাবি করেছেন যে দু'নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে এনে কয়েকটি ট্রেনকে এক নম্বরে প্ল্যাটফর্মে দেওয়ার দাবি তুলে অবরোধ করেছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু যাত্রীদের সেই দাবি পুরোপুরি যুক্তিহীন। সেরকমভাবে ট্রেন দিতে গেলে রেল পরিষেবা পুরো ঘেঁটে যাবে বলে দাবি করেছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, প্ল্যাটফর্মে জবরদখলের কারণে তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রী। যদিও একই প্ল্যাটফর্মে একইসঙ্গে তিনটি ট্রেন ঘোষণা করা হয়েছে যে অভিযোগ তুলেছেন যাত্রী, তা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
যাত্রীরা কী অভিযোগ করেছেন? তাঁরা দাবি করেছেন, আর পাঁচটা কর্মদিবসের সন্ধ্যায় যেমন বিধাননগর রোড স্টেশনে ভিড় হয়, সেরকমই পরিস্থিতি ছিল শুক্রবার। তারইমধ্যে একইসঙ্গে দু'নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিনটি ট্রেন আসবে বলে ঘোষণা করা হয়। তার জেরে প্রচুর যাত্রী সেখানে আসার চেষ্টা করেন। স্বভাবতই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কোন ট্রেন আগে আসবে, কোনটি পরে আসবে, তা কেউ বুঝতে পারছিলেন না। তার জেরে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। স্টেশনের সাবওয়েতেও হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা।
তাঁদের দাবি, শুক্রবার যে প্রথমবার এরকম ঘটনা ঘটেছে, তা মোটেও নয়। হামেশাই এরকম অবস্থা হয়। সংকীর্ণ জায়গায় পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, রেলের সেই গাফিলতির প্রতিবাদেই অবরোধ শুরু করা হয়। তার জেরে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময় ব্যাহত হয় লোকাল ট্রেনের পরিষেবা। থমকে যায় একাধিক ট্রেন। চরমে ওঠে ভোগান্তি। পরবর্তীতে যাত্রীদের সরিয়ে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের সেই অভিযোগ নিয়ে রেলের তরফে কোনও শব্দ খরচ করা হয়নি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দাবি করেছেন, দু'নম্বর লাইনের (আপ মেন লাইন) পরিবর্তে একাধিক ট্রেন এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানোর দাবি করতে থাকেন যাত্রীারা। তার জেরে সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট নাগাদ যাত্রীরা অবরোধ শুরু করেন। তার জেরে আপ লাইনে পরিষেবা ব্যাহত হয়। রাত ৮ টা ২৭ মিনিট নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। তারপর ফের আপ লাইনে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। ডাউন লাইনে পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। সবমিলিয়ে ছ'টি লোকাল ট্রেনের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।