জানুয়ারির গোড়াতেই বাংলা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল কমিশনের। রাজ্যে ৫ লক্ষ তরুণ-তরুণীরা ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদনই করেননি। নতুন ভোটারদের এই ধরনের আচারণে উদ্বিগ্ন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ১০ লক্ষের মতো আবেদন জমা পড়েছে। যত সংখ্যক নতুন ভোটারের নাম তালিকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা শেষ পর্যন্ত পূরণ করা যায়নি।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা
বর্তমানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিকায় নাম তোলার প্রক্রিয়া শুরুর আগে বুথ লেভেলের অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করেন। তাতে দেখা যায়, ১৫ লক্ষ তরুণ-তরুণী রয়েছেন যারা ১৭ ঊর্ধ্ব বা ১৮-তে পা দিয়েছেন। এঁরা প্রত্যেকেই যাতে ফর্ম জমা দেন, সে দিকে নজর রাখতে বিএলআরও-দের নির্দেশ দেন কমিশনের কর্তারা।
এর পর ১ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলে। তা শেষ হলে দেখা যায়, নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্য প্রায় ৫ লক্ষ তরুণ-তরুণী এবার ফর্ম জমাই দেননি। অথচ গতবার ছবিটা এই রকম ছিল না। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ১৬লক্ষ তরুণ-তরুণী আবেদন করেন সেবার।
কেন নাম তুলতে অনাগ্রহ?
এই প্রশ্নটি ভাবিয়ে তুলেছে নির্বাচন কমিশনকে। তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ নিয়ে প্রতিটি জেলার সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছেন। কেন এই ধরনের মানসিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস জানতে চায় ওসি ইলেকশনের কাছে। এর উত্তরে অনেকে জানান যেহেতু বছরে চারবার নাম তোলার সুযোগ রয়েছে তাই তারা তাড়াহুড়ো করতে চান না। বিএলআরও-রা যখন তাদের বাড়িতে গিয়ে নাম তোলার পরামশ দিচ্ছেন, তখন তাঁদের একটা অংশ জানাচ্ছেন, পরে নাম তুলবেন তাঁরা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভোট দেওয়াকে তাঁরা ততটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না, সে কারণে তা নাম তুলতেও গড়িমসি করছেন।
কমিশন সূত্রে খবর, নাম তোলা, সংশোধন, বাতিলের জন্য সব মিলিয়ে এবার প্রায় সাড়ে ৩৩ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েছে। তার মধ্যে অবশ্য বাতিল হয়ে গিয়েছে ৩ লক্ষাধিক ফর্ম। বাকি ফর্মগুলি পরীক্ষা করে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানুারির গোড়াতে ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।