ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় এসে একটি পরিত্যক্ত পুরনো পাম্প হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই পাম্প ভেঙে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার ৩ নম্বর লেক কলোনিতে। মৃতের নাম পাপ্পু দাস (৩৬)। জানা গিয়েছে, তিনি ঝাড়খণ্ডের কোডারমার বাসিন্দা। বহু পুরনো ওই পাম্প হাউসটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। কিন্তু, সাশ্রয়ের আশায় সেই পাম্প হাউসেই অস্থায়ী আস্তানা গড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বুধবার বিকেলে আচমকা সেই পাম্প হাউস ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: লরি উলটে ২ হাজার ইটের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু শ্রমিকের
এদিন ওই পাম্প হাউস ভেঙে পড়ার পরেই দ্রুত পাপ্পুকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, কলকাতায় কাজের উদ্দেশ্যেই তিনি ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিলেন। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘ওই পাম্প হাউসটি ছিল ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে। দীর্ঘদিন ধরে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে জানতে পারি ওখানে একজন লোক ছিলেন। সেই পাম্প হাউস বুধবার ভেঙে পড়েছে। ওই ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে তিনি মারা গিয়েছেন।’ এদিনের ঘটনার পরেই কলকাতা পুরসভার কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।শহরের আরও যেখানে পরিত্যক্ত পাম্প হাউস রয়েছে সেখানে যাতে কেউ আশ্রয় না নিতে পারেন তার জন্য অবিলম্বে সেগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র। জানা গিয়েছে, এদিন ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর শুনে এসএসকেএম হাসপাতালে যান ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য, বর্ষা শুরু হতেই বিপজ্জনক বাড়িগুলি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে কলকাতা পুরসভার। অতীতে বর্ষাকালে বিপজ্জনক বাড়ির অংশ ধসে পড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। যার মধ্যে ৫০০টির অবস্থা খারাপ। ইতিমধ্যেই বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে বিপজ্জনক বাড়িগুলি নিয়ে চিন্তিত কলকাতা পুরসভা। অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িগুলি খালি করার নোটিশ দেওয়া হলেও বেঁকে বসছেন মালিক, ভাড়াটেরা। তারা আদালতে গিয়ে পুনরায় বিপজ্জনক বাড়িতেই থাকছেন। এই অবস্থায় শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলি পরিদর্শনে যাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা।