প্যারোলে মুক্তিকেই বেকসুর খালাস ভেবেছিল এক আসামী। করোনাভাইরাস আবহে অন্যান্য বন্দিদের মুক্তির সঙ্গে সেও মুক্তি পেয়েছিল। এই মুক্তি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর এই মুক্তির তালিকায় জায়গা পেয়েছিল খুনের আসামি রেহান শেখ। সে মনে করেছিল প্যারোলে মুক্তি মানেই বেকসুর খালাস। তাই মুক্তি পেয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করল সে। এই অভিযোগ আসতেই আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ–সহ তাকে ফের গ্রেফতার করল পুলিশ।
এখন অবশ্য করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ সূত্রে খবর, দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে খুনের সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম রেহান শেখ। তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তারপরই অপরাধমূলক কাজকর্ম জোরকদমে শুরু করে সে। তখন তাকে ধরার জন্য ফের তৎপর হল পুলিশ। বুধবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ নিউটাউন বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন সঙ্গীদের সঙ্গে আড্ডায় মজেছিল রেহান। ধৃতের কাছ থেকে দেশি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।|
তাকে আজ বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক প্রোমোটার খুন করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে সাজা ঘোষণা হয় তার। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল সে। কিন্তু এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো থেকে শুরু করে নানা অপরাধমূলক কাজ শুরু করতেই ফের গ্রেফতার করা হল।
ধৃতের মোবাইল কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সে মনে করেছিল বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছে। তাই তোলাবাজি করতেও শুরু করেছিল রেহান শেখ। এমনকী এলাকায় সবাই চমকাতে শুরু করে সে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছিল। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখে সত্যতা পেতেই জালে তুলল রেহান শেখকে।