মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে বাতিস্তম্ভে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠল কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে মানিকতলার গাঙ্গুলিপাড়া এলাকায়। পরে ওই যুবকের দেহ একটি অটোর ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অমরনাথ প্রসাদ ওরফে পাপ্পু। অমরনাথ মানিকতলার বসাকবাগান এলাকার বাসিন্দা। বসাকবাগানেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোর ভিতর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, বসাকবাগানের একটি বস্তিতে দুই দাদার সঙ্গে থাকতেন অমরনাথ। ছয় ভাইয়ের মধ্যে অমরনাথ ওরফে পাপ্পুই সবচেয়ে ছোট। বড় দাদার বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। মেজ দাদা উত্তম প্রসাদ একজন অটো চালক। তাঁর রোজগারেই গোটা সংসার চলে। কিন্তু পাপ্পু কোনও কাজ করে না। শুধু নেশা করত বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর।
গত বুধবার সকালে বসাকবাগানে রাস্তার পাশে অটো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা দেখেন, অটোর পিছনের সিটে হেলান দিয়ে বসে রয়েছে এক যুবক। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেখে, যুবকের মুখের উপর গভীর ক্ষত রয়েছে এবং মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাঁকে আর জি কর মেডিকেল এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে, কী কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে বসাকবাগানের এক বাসিন্দার দাবি, মোবাইল চোর সন্দেহে ওই যুবককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনাস্থল গাঙ্গুলিবাগানে গিয়ে একই কথাই শোনা গেল। এলাকার এক বাসিন্দা বাতিস্তম্ভ দেখিয়ে জানান, এই বাতিস্তম্ভেই বেঁধে ওই যুবককে বেধড়ক মারা হয়েছে।