রাজ্য়ে এবার আবাস প্লাস প্রকল্প। টার্গেট ৪৯ লক্ষ।লোকসভা ভোটের আগেই ৪৯ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের। ১১ লক্ষ উপভোক্তার ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে একমাসের মধ্য়ে প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়ার শর্ত দিয়েছে কেন্দ্র। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে চাইছে সরকার। এরপর আরও ৩৮ লক্ষ উপভোক্তাদের জন্য টাকা আনার ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে দ্বারস্থ হওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। আবাস যোজনা নিয়ে বিরোধীরা যখন সুর চড়াতে শুরু করেছেন তখনই এই যোজনাকে সফল করতে জেলায় জেলায় তৎপরতা শুরু করে দিল সরকার। জেলায় জেলায় এনিয়ে তালিকাও তৈরি হচ্ছে।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জেলায় জেলায় আবাস যোজনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে। এদিকে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ করা হয়েছে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সেই কাজ কতটা দ্রুততার সঙ্গে রাজ্য সরকার বাস্তবের মাটিতে প্রয়োগ করতে পারে সেটাও দেখার। সেই সঙ্গে প্রকল্পে স্বচ্ছতা বজায় রাখাটাও বড় চ্যালেঞ্জ।
আপাতত ৪৯ লক্ষের মধ্যে ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। উপভোক্তাদের তালিকাও তৈরি হচ্ছে। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই তালিকায় কতটা প্রকৃত উপভোক্তারা পাবেন, আর কতটা দলের লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হবে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে সূত্রের খবর, সরকার এবার অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবাস যোজনায় অস্বচ্ছতাকেই ইস্যু করতে পারে বিরোধীরা।
এর সঙ্গেই বাকি ৩৮ লক্ষ উপভোক্তার তালিকাও তৈরি করা হবে ধাপে ধাপে। এক্ষেত্রে গ্রামসভার মাধ্যমে এই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে সবার উপরে স্বচ্ছতা। কারণ বিপুল ভোটব্যাঙ্ক নির্ভর করছে এই প্রকল্পের উপরেও ।এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।