চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যেতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্ট একটি হলফনামা দিয়ে তার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। আগামী ২৬ জুলাই বুধবার তিনি আমেরিকা পাড়ি দিতে চান। সেটাই জানিয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সোমবার অর্থাৎ আজ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিষেক তাঁর হলফনামায় লিখেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিদেশ সফরের বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। গত ১৫ জুলাই এই চিঠি তিনি ইডিকে দেন। কিন্তু তাদের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। তাই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
(পড়তে পারেন। মণিপুর প্রসঙ্গে বাংলার বঞ্চনা নিয়েও দিল্লির ধর্নায় সরব অভিষেক)
হলফনামায় অভিষেক জানিয়েছেন, আমেরিকার আগামী ৮ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টেয় চোখের চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে তাঁর। সেই চিকিৎসার জন্যই তাঁকে প্রায় প্রায় ২৪ দিন আমেরিকায় থাকতে হবে। সোমবার বিকেল ৪টে ২৫ মিনিটে শুনানির জন্য উঠবে বলে ইডি সূত্রে খবর। একই সঙ্গে সোমবার কয়লা পাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছেও তাঁর বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদ।
হলফনামায় তাঁর চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় যাওয়ার কারণ বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছেন। ইডি সূত্রে খবর, হলফনামায় অভিষেক জানিয়েছেন, গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাঁ চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য আমেরিকায় থাকতে হয়। বাল্টিমোরের মেরিল্যান্ডে দ্য জন হপকিন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডেভিড এল গুইটন তাঁর চোখের অস্ত্রোপচার করেন। এ বারও চিকিৎসক ডেভিডকেই দেখানোর কথা তাঁর।
এর আগে মার্চ মাসে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কিছু সমস্যার থাকায় তখন সময় তিনি বিদেশে যেতে পারেননি। তাই ই মেলের মাধ্যমে পরে নতুন সময় চেয়ে নিয়েছেন। দ্বিতীয়বারের অ্যাপয়েন্টমেন্টের নির্ধারিত তারিখ ৮ আগস্ট। প্রমাণ হিসাবে হলফনামার সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে ইমেলে যে কথা হয়েছে সেই নথিও জমা দিয়েছেন অভিষেক।
এর আগে অভিষেকের এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিক। তাঁর একগুচ্ছ প্রশ্ন, 'এতবার ওদের কেন বিদেশে যেতে হয়? ২০১৪-র আগে কতবার বিদেশে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার? বিদেশ যাত্রার জন্য এত টাকার উৎস কী? বছরে ৩-৪বার বিদেশ যাত্রার টাকার উৎস কী? কী ব্যবসা আছে?'