হাওড়া স্টেশনের বাইরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পরপর তিনটি বাসে ধাক্কা। কলকাতা থেকে হাওড়াগামী একটি বেসরকারি বাস আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে খবর। বাসটি ব্রেক ফেল করেছিল বলে যাত্রীদের দাবি। এরপরই বাসটি একের পর এক বাসে ধাক্কা দিতে শুরু করে। পরপর তিনটি বাসে ধাক্কা দেয় বাসটি। সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর থেকে যাত্রীদের নিয়ে এসে হাওড়া সরকারি বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের খালি করা হচ্ছিল। সেই সময় আচমকা ২৮ নম্বর রুটে বাসটি হুড়়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে। এরপর একের পর এক বাসে ধাক্কা মারতে থাকে বাসটি। বেসরকারি বাসের সামনের দিকটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। একাধিক সরকারি বাসে পরপর ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সরকারি বাসগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটি?
বাসের কর্মীদের দাবি, ২৮ নম্বর রুটের বাসটি আচমকাই ব্রেক ফেল করে। এদিকে গঙ্গাসাগর থেকে যাত্রীদের নিয়ে এসে বাসটি খালি করা হচ্ছিল। সেই সময় পেছন থেকে এসে ধাক্কা দেওয়া হল। দুজন আহত হয়েছে। একজনের পা ভেঙে গিয়েছে। শিয়ালদা থেকে ২৮ নম্বর রুটের বাসটি এসেছিল। আর সরকারি বাসগুলো গঙ্গাসাগর থেকে এসেছিল। আর একটু হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
অপর এক বাস চালক বলেন, ডিপোতে দাঁড়িয়েছিল সরকারি বাসগুলো। আচমকাই ২৮ নম্বর রুটের বাসটি চলে এল। তারপর একের পর এক ধাক্কা দিতে শুরু করে।
এদিকে ধাক্কার তীব্রতা এতটাই ছিল যে বেসরকারি বাসের সামনের অংশটি ভেঙেচুরে গিয়েছে।
এদিকে বেসরকারি বাসটি কেন এভাবে একের পর এক বাসে ধাক্কা মেরেছিল তা দেখা হচ্ছে। কেন ডিপোর কাছে এসেও বাসটি গতি নিয়ন্ত্রণ করেনি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে বাসটি সম্ভবত ব্রেক ফেল করেছিল। সেকারণেই আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। একের পর এক বাসে ধাক্কা দেয়।
এদিকে হাওড়া ব্রিজ ও হাওড়া স্টেশনের কাছেই এই বাসস্ট্যান্ড সবসময়ই জমজমাট থাকে। সেক্ষেত্রে যাত্রীরাও আহত হতে পারতেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। ইতিমধ্যেই গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। আহত বাসকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।