সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে তাঁর অফিসে ঢুকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা প্ররাশ্যে আসার পর থেকেই শিরোনামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। ঘটনায় অভিযুক্র গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য কি না তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর। এরই মাঝে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন উপাচার্য মহম্মদ আলি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, আলিয়ার উপাচার্য পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দুই বছর কোও রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও পরে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। পরে তিনি বলেন, ‘কোভিড আসে এবং অন্যান্য পরিস্থিতি বদলে যায়। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।’
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে উপাচার্যের বক্তব্য, ‘সরকার থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি। তাঁরা ব্যস্ত জানি। তবে খোঁজ নিলে ভাল লাগত।’ এর আগে গত পরশু নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হেনস্থার ঘটনাকে ‘একটু কটূ খারাপ কথা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই আবহে উপাচার্যের ইঙ্গিতবহ মন্তব্য ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। সাম্প্রতিককালে আলিয়ার পড়ুয়াদের একাংশ কিছু অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল করেছেন। সেখানে উঠে এসেছে শাসক দলের বহু নেতার নাম। এই আবহে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে, আলিয়ার ঘটনা কি তবে পূর্ব পরিকল্পিত? এই আবহে মহম্মদ আলির স্পষ্ট বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য পদে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
এদিকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্থায় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত। আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন প্রভাবশালীদের নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল বহিষ্কৃত গিয়াসউদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে সে। এই আবহে প্রশ্ন, কারা সেই প্রভাবশালী?