বাবা প্রভাবশালী চিকিৎসক। এমনকী চিকিৎসক মহলে তিনি কালীঘাট ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁরই চিকিৎসক কন্যার উচ্চপদে নিয়োগ নিয়ে এবার দুর্নীতির অভিযোগ। তিনি ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির, সাইকায়াট্রিক এপিডোমিয়োলজি বিভাগের অ্য়াসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। তাঁর নিয়োগ নিয়ে এবার বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে যে পদে তিনি রয়েছেন সেখানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মানসিক রোগের চিকিৎসায় অন্য়তম উৎকর্ষ কেন্দ্র হল এই আইওপি। সেখানে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি সংগঠন এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তারা।
এদিকে ওই পদে থাকার ক্ষেত্রে ওই চিকিৎসকের কতটা যোগ্যতা রয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম ভেঙে তাঁকে নিয়োগ করার কথা মাথায় রেখেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল কি না সেই প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগ উঠেছে ওই নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময় নিয়ম মানা হয়নি। সেই বিজ্ঞাপনে তারা চিহ্ন দিয়ে একটি লাইন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছিল স্নাতকোত্তর যোগ্যতার মধ্য়ে কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে হেলথ সায়েন্সে এমএস ডিগ্রিকেও ধরা হবে। অন্যদিকে এই পদটি আগে ছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট সার্ভিসের আওতায়। সেটাকে বদলে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিস ক্যাডারের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
আর দেখা যাচ্ছে যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে মাস্টার অফ সায়েন্স পেয়েছেন। কিন্তু এটা কোনও ক্লিনিকাল ডিগ্রি নয়। কিন্তু বিজ্ঞাপনে সেই ডিগ্রির কথাই কার্যত উল্লেখ করা ছিল। তবে কি তাঁকে নিয়োগের জন্যই এই আগাম ব্যবস্থা? এই ডিগ্রি দেখিয়েই তিনি ২০২০ সাল থেকে সরাসরি সাইকিয়াট্রিক এপিডেমিয়োলজি বিভাগের অ্য়াসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও পরবর্তী সময়ে তিনি বিভাগীয় প্রধানও হয়েছিলেন বলে খবর।
আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, সরকার যে শিক্ষাগত যোগ্যতা চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল আমার তা ছিল। তারা আমাকে বেছে নিয়েছে। তাছাড়া এই পদটি ক্লিনিকাল পদ নয়। তাই এটা এমসিআই বা জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের আওতায় পড়তে পারে না।