গ্রেফতারির পর কেটেছে ৩৬ ঘণ্টা। এর মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের ওপর দিয়ে কার্যত ঝড় বয়ে গিয়েছে। বোলপুর থেকে কুলটি, আসানসোল হয়ে কলকাতা এসে এক করতে পেরেছেন চোখের পাতা। দিনে সিবিআই আবার নিয়ে গিয়েছিল কম্যান্ড হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য। আর সেখান থেকে ফিরেই বাড়িতে মেয়েকে ফোন করলেন অনুব্রত মণ্ডল।
শুক্রবার বিকেলে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রয়োজনীয় ফোন করার অনুমতি দেয় সিবিআই। ফোন হাতে পেয়েই প্রথমে মেয়েকে ফোন করেন অনুব্রত। স্পিকার ফোনে সিবিআই আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কথা হয় বাপ – বেটির। মেয়ের অনুব্রত বাড়ির কথা জানতে চান। মেয়ে কেমন আছেন তাও জানতে চান তিনি। পালটা মেয়ে বাবার কাছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি জিজ্ঞাসা করেন। জানতে চান, অনুব্রত ঠিক মতো ওষুধ খাচ্ছেন কি না। জবাবে অনুব্রত বলেন, ‘চিন্তা করিস না মা। সব ঠিক আছে। এখানে সব ঠিক আছে। চিন্তা করিস না।’
৭ সেপ্টেম্বর BJPর নবান্ন অভিযানের ডাক, জেলায় জেলায় প্রচার শুরুর নির্দেশ সুকান্তর
ওদিকে এদিন নিজের চিনার পার্কের ফ্ল্যাটের এক কেয়ারটেকারের কাছে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে দলের অবস্থান জানতে চান অনুব্রত। মুন নামে ওই মহিলা অনুব্রতকে নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য নিজাম প্যালেসেই রয়েছেন। এদিন নেবুলাইজ করার সময় তাঁর কাছে অনুব্রত জানতে চান, দল কী বলছে? পাবলিকই বা কী বলছে?
শুক্রবার অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষার পর কম্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনুব্রত যথেষ্ট ভালো আছেন। তাঁর ভর্তি হওয়ার কোনও দরকার নেই।