সাম্প্রতিক কালে একুশের মঞ্চ সামলেছেন সুব্রত বক্সি। তবে এবারের সভায় তাঁকে সেই ভূমিকায় দেখা গেল না। তিনি মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও মাইক্রোফোন হাতে মঞ্চ সামালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বক্তাদের নাম ডাকলেন মাঝে ফিলার হিসাবে বক্তব্যও রাখলেন। সব মিলিয়ে দক্ষ হাতে অরূপ সামলালেন দায়িত্ব।
কেন এই দায়িত্ব বদল? তৃণমূল সূত্র বলছে, বেশ কিছু দিন ধরেন তিনি নানা শারীরিক সমস্যায় জেরবার। সম্প্রতি দলের বৈঠকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অব্যাহিত চেয়েছিলেন সুব্রত বক্সি। কিন্তু তাঁর সেই অনুরোধ মেনে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কি তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল? একুশের মঞ্চে অরূপের হাতে সঞ্চালনার দায়িত্ব দেখে তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও মঞ্চে একেবার বসে থাকেননি সুব্রত বক্সি। তিনি এসে বিদ্যুৎমন্ত্রীকে শুরুর দিকে পরামর্শ দিয়েছেন।
(পড়তে পারেন। ২১শের মেলাতে বিক্রি হলেন অভিষেক, মমতার ছবির চাহিদা কি কমছে?)
তবে একুশের মঞ্চ দক্ষ হাতেই দায়িত্ব সমালেছে অরূপ বিশ্বাস। পাহাড় থেকে শুরু করে জঙ্গলমহলের নেত্রীকে বক্তব্যের জন্য ডেকে নেওয়া। তালিকা ধরে পর বর্ষিয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, সায়নী ঘোষকে এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তব্যের জন্য ডেকে নেওয়া, সবই তিনি সামলেছেন দায়িত্ব নিয়ে। বক্তব্যে মাঝে আবার গায়ক নচিকেতাকে ডেকে নিয়েছেন গানের জন্য। নেত্রী যখন ভাষণ দিতে উঠবেন, তার ঘোষণা করেছেন বেশ নাটকীয় ভাবে। আবার শেষ বেলায় দল নেত্রীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগানও দিয়েছেন।
আগে একুশের মঞ্চে সাংগঠনিক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সুব্রত বক্সির পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়কে দেখা গিয়েছে। সুব্রত বক্সির সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও কখনও কখনও মঞ্চ সামলেছেন। তবে দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল বন্দি। মুকুল রায়ে দলেরে থাকার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে। সম্প্রতি সুব্রত বক্সিও জানিয়েছেন শারীরিক কারণে তিনি আর দায়িত্ব সাংগঠনিক দায়িত্ব নিতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে অরূপ বিশ্বাসের হাতে ‘বক্সিদা’র ব্যাটন তুলে দেবেন দলনেত্রী? একুশের মঞ্চে সঞ্চালনার দায়িত্ব কি সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে?