বিজেপিতে যোগদানের ১ বছরেরও বেশি সময় পর পদ পেলেও খুশি হননি বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তালিকায় না থাকায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। এর পরই বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপির রাজ্য কার্যকারিনীতে অন্তর্ভুক্তির খবর আসে। জানা গিয়েছে, তাঁকে রাজ্য কার্যকারিনীর বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করতে চলেছে বিজেপি।
গত বছর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শোভনকে সক্রিয় করতে চেষ্টার অন্ত রাখছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু তাদের অবস্থান ছিল খুব স্পষ্ট। তাঁদের শোভনকে দরকার, বৈশাখিকে নয়। কিন্তু বিজেপিতে বৈশাখির গুরুত্ব বৃদ্ধি নিয়ে অনড় ছিলেন শোভনও। সব মিলিয়ে শক্ত গিঁটে আটকে ছিল বিজেপিতে শোভনের ভবিষ্যৎ।
রাজনৈতিক মহলের মতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ময়দানে নামিয়ে বাজিমাত করতে মরিয়া বিজেপি। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো তৃণমূল অধ্যুষিত জেলায় শোভনকে কাজে লাগিয়ে অনেকটাই লাভবান হওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
মঙ্গলবার বিজেপির তরফে ২৩০ জনের রাজ্য কার্যকারিনীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে থাকলেও নাম ছিল না বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শোভন শিবিরের প্রশ্ন, মাস খানেক আগে দলবদল করে জ্যোতির্ময়ী শিকদার বিজেপিতে পদ পেয়ে গেলেন অথচ ১ বছর আগে যোগদান করে বৈশাখিদেবী পদ পেলেন না কেন? বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদপ্রাপ্তিতে বিজেপিতে শেষ পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় সক্রিয় হন কি না সেটাই দেখার।