বাংলাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপ ও মন্দিরে লাগাতার হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাল বজরং দল। শনিবার বিকেলে শ্যামবাজার মেট্রোর সামনে বিক্ষোভ দেখান বজরং দলের নেতা-কর্মীরা। বাংলাদেশের হিন্দুদের সেদেশের সরকারকে নিরাপত্তা দিতে হবে দাবি তুলেছে তারা। পুলিশ পৌঁছে ৪ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।
দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক দুর্গামণ্ডপ ও মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে ইসলামি কট্টরপন্থীরা। কুমিল্লায় ভাঙচুর হয়েছে একাধিক মণ্ডপে। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে প্রতিমা। নোয়াখালিতে ভাঙচুর হয়েছে ইসকন মন্দির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় আধা সামরিক বাহিনী নামিয়েছে হাসিনা সরকার। এখনো পর্যন্ত ইসলামি কট্টরপন্থীদের হামলায় সেদেশে ৪ জন হিন্দুর মৃত্যুর খবর মিলেছে।
ওদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার শ্যামবাজার মেট্রোর সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন বজরং দল। বাংলাদেশে হিন্দুদের সেদেশের সরকারকে সুরক্ষা দিতে হবে বলে দাবি জানান তারা। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। ৪ বিক্ষোভকারীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যান তারা।
বিক্ষোভে উপস্থিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে অকথ্য নির্যাতন চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সেদেশের সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা ভারত সরকারের কাছেও এব্যাপারে পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছি। অবিলম্বে সেদেশে হিন্দুদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় আন্দোলনে নামবে বজরং দল।
বলে রাখি, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ করা হবে’ বলে জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ।