নির্বাচনী বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র—জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে বড় শতাংশের ভোট পড়েছে। আর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে শতাংশের হার এই দুটি কেন্দ্রের তুলনায় কম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই শতাংশের হার ঘোষণা করা হয়েছে।
কোথায় কত ভোট পড়ল? এই পরিস্থিতিতে সামশেরগঞ্জের ৯টি বুথে পুনর্নির্বাচন করার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। ভবানীপুরে রিগিং হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। কিন্তু ভোট শতাংশের হার সেই সাক্ষ্য বহন করছে না। ভবানীপুরে ভোটদানের হার ৫৭.০৯ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ভোট পড়েছে ৭৯.৯২ শতাংশ। আর জঙ্গিপুরে ৭৭.৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভবানীপুরে কম ভোট পড়লেও তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ভোট কম পড়লেও তা তাঁদের ঝুলিতেই এসেছে। তবে ফলাফল শেষ কথা বলবে। ভবানীপুরকে মিনি ভারতবর্ষ বলা হলেও এখানে বরাবরই কম ভোট পড়ার ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে। এমনকী একুশের নির্বাচনেও বিরাট শতাংশের ভোট পড়েনি। তবে তাতেই বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল মাত্র ৪৪.৬৭ শতাংশ। কিন্তু জয় পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ছিল ৬১.৭২ শতাংশ। জয়ের মুখ দেখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আগামী রবিবার ওই তিন কেন্দ্রে ভোট গণনা হবে। একুশের নির্বাচনের তুলনায় উপনির্বাচনেও কম শতাংশ ভোট পড়ল। সেখানেও কী জয়ের হাসি হাসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? উত্তর সেদিনই মিলবে।