শনিবার বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুক পোস্ট করে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন। রাজনীতিকে ‘অলবিদা’ জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন। তখন পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, বাবুলের মন্ত্রিত্ব চলে গিয়েছে। তাই কেন্দ্রের সঙ্গে দর কষাকষি করছেন। হিম্মত থাকলে সংসদে গিয়ে সাংসদ পদ ছেড়ে দিক। এরপরই বাবুলকে টেলিফোন করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। রাতেই বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে কথা হয় নড্ডার। সূত্রের খবর, তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ইস্তফা না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তাতে বরফ গলল কিনা সেটা সময় বলবে।
শনিবার রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিআইএম, কোথাও নয়। নিশ্চিত করছি। কেউ আমাকে ডাকেনি। আমিও কোথাও যাচ্ছি না। আমি একটা দলেরই খেলোয়াড়। চিরকাল মোহনবাগানকে সমর্থন করে গিয়েছি। আর শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিই করেছি। চললাম।’ এই ফেসবুক পোস্টের পর শোরগোল পড়ে যায়। এমনকী তিনি জানান, রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে গানে ফিরবেন।
তারপরই আবার যোগ করেন, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তারপরেই নড়েচড়ে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাতেই তড়িঘড়ি বাবুলকে টেলিফোন করেন জেপি নড্ডা। সেই কথোপকথন চলে বেশ কিছুক্ষণ। তাতে কতটা অভিমান জল হয়ে গলে পড়ল তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। দলের অন্দরে যো কোন্দল তৈরি হয়েছে তাও ফেসবুকে তিনি লিখে জানান, ‘নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তর হচ্ছিল। প্রবীণ নেতাদের মতানৈক্য ও কলহে পার্টির ক্ষতি তো হচ্ছিল।’
উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে দিলীপ ঘোষের অম্ল–মধুর সম্পর্ক প্রকাশ্যে এসেছিলই। প্রকাশ্যেই পরস্পরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। দলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছিল। বাবুলের কথাও দলের কেউ শুনছিলেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ চলে যেতেই দলের ভেতরে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। তাছাড়া দীর্ঘদিন কোনও পদও তাঁকে দেওয়া হচ্ছিল না। সবমিলিয়ে বীতশ্রদ্ধ ছিলেন বাবুল। যার চেউ আছড়ে পড়েছিল ফেসবুকে।