নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ সৎকারকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এনআরএস মেডিকেল কলেজএবং হাসপাতালে। পুলিশি টালবাহানার মধ্যে হোমগার্ডকে টেনে চড় মারেন এক বিজেপি নেতা। এই চড় মারার ঘটনায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, 'মেরে থাকলে ঠিক করেছে।'
এদিন এনআরএস হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত অভিজিৎ সরকারের দেহ নিতে যান বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি-সহ বেশ কয়েকজন। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন ওই বিজেপি নেতা। দেহ হাসপাতালের মর্গ থেকে বের করে আনার সময়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় তাঁর। সেইসময়ই এক হোমগার্ডকে চড় মারেন তিনি। ওই বিজেপি নেতার দাবি, বাধ্য হয়েই চড় মারতে হয়েছে। প্রথমে তিনি চড় মারতে চাননি। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে পড়ে মারতে হয়েছে তাঁকে। এদিন ওই বিজেপি নেতা জানান, '৮–৯ বছর আগে অভিজিৎ ও তাঁর দাদা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় দুই ভাই প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু এবারে আর অভিজিৎ পারেনি।'
এদিন হাসপাতালের মর্গ থেকে মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে নিয়ে আসা হয় দেহ। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় অভিজিতের কাঁকুরগাছির বাড়িতে। এরপর দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন হোমগার্ডকে চর মারা নিয়ে বিজেপি নেতার পাশেই দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, ‘সরকারের গালে থাপ্পড় মারা উচিত। হোমগার্ডকে মেরে ঠিক করেছেন।’ যদিও দিলীপের এই বক্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, ‘দিলীপ ঘোষ নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন।’