রাজ্যের সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি। তা নিয়ে চিঠি পাঠানো থেকে তথ্য–যুক্তি সবই দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একচুলও নড়েনি। তাঁদের নিয়মও বলছে, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করিয়ে নেওয়াটাই রীতি৷ গত ২ মে একুশের নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল৷ সেই হিসেবে আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷ আর উপনির্বাচন চায় না বিজেপি। পরোক্ষভাবে সে কথা বিজেপি নেতারা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে। এবার সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বঙ্গ বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
বুধবার উপনির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে তথাগত রায় লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ, দুই–ই বাড়ল! লোকাল ট্রেন বন্ধ, স্কুল–কলেজও তাই। ভ্যাকসিন নিয়ে টানাটানি অব্যাহত। এককথায়, একটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন কি করে হবে? না, না, এই অবস্থাতে কোনও ঝুঁকি নেওয়া মোটেই উচিত নয়!’ অর্থাৎ তিনিও যে উপনির্বাচন চান না তাও বুঝিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে কয়েকদিন আগে যশবন্ত সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছে করেই উপনির্বাচন আটকে রাখতে চায়। তারপর থেকেই দেখা গিয়েছে, এই বিষয়ে গড়িমসি করছে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচন করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাস৷ সেপ্টেম্বর মাসের শেষেই উপনির্বাচন সেরে ফেলতে পারে নির্বাচন কমিশন৷ বিষয়টি নিয়ে নবান্ন থেকে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা উচিত নয়।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচন হওয়ার কথা৷ আর সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোটগ্রহণই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল৷ নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷ তাই উপনির্বাচন করাতে আরও উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফের কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে খবর৷